ইতিহাসে মাঝেমধ্যে এমন সব ব্যক্তিত্বের নীরব উদয় হয়ে থাকে, যারা খুব ঢাকঢোল পিটিয়ে, লাখ লাখ অনুসারীর বিশাল বিশাল জনসভায় বক্তৃতা না দিয়েও নিজের নীরব ও সীমিত কর্মের মাধ্যমে সমাজ সদস্যদের অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত করে এক নীরব সাংস্কৃতিক বিপ্লবের রূপায়ণ করেন। যার মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি ও তাদের থেকে
তিনি শেখ হাসিনার সাড়ে ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সোচ্চার ও প্রতিবাদী ছিলেন। ২০২৪-র জুনে তিনি বলেছিলেন, আওয়ামী লীগকে পিটিয়ে ক্ষমতাছাড়া করতে হবে। শেখ মুজিবের মূর্তি ও ম্যুরাল ভাঙার মধ্যে তিনি জনতার স্বতঃস্ফূর্ত রুদ্ররোষ দেখতে পেয়েছিলেন।
বিপুল কাজ আমাদের জন্য রেখে তিনি চলে গেলেন। যে কোন বিদায় কষ্টের। তবে তিনি সৌভাগ্যবান হাসিনার পতন দেখে যেতে পেরেছেন। অনেকে তা পারেননি; যেমন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে তিনিও আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন।
শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, লেখক ও রাজনীতিবিদ বদরুদ্দীন উমরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। সোমবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাকে নিয়ে আসা হয়।